Header Ads Widget

Future of AEPS Business 2026 – নতুন নিয়ম ও সুযোগসমূহ || AEPS Business Rules 2026 – নতুন KYC, Team ও Risk Management

Future of AEPS Business 2026 – নতুন নিয়ম ও সুযোগসমূহ. || AEPS Business Rules 2026 – নতুন KYC, Team ও Risk Management


AEPS 2026: নতুন “টিম” ও শর্তাবলী – সংক্ষিপ্ত ও বিশ্লেষণাত্মক ব্যাখ্যা



১. ATO বা “নতুন টিম”—কারা এটি?

AePS Touchpoint Operator (ATO) সাধারণত ব্যাংক কর্তৃক নিযুক্ত এজেন্ট—যারা গ্রাহকদের জন্য Aadhaar-based biometric অথবা OTP-authentication ব্যবহার করে AePS (যেমন ক্যাশ উত্তোলন, ব্যালেন্স Enquiry, ফান্ড ট্রান্সফার ইত্যাদি) সরবরাহ করেন। এই "নতুন টিম" আসলে সেই ATO-এর ভূমিকা নিয়েই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে ।

২. KYC ও দৃষ্টান্তস্বরূপ ডিউডিলিজেন্স (Due Diligence)

পূর্ণ KYC প্রক্রিয়া: আদায়কারী ব্যাংক (acquiring bank)কে ATO-কে অনবোর্ড করার আগে অবশ্যই RBI-এর Master Direction – KYC, 2016 অনুযায়ী পূর্ণ KYC করতে হবে। পূর্বে BC বা sub-agent হিসেবে যাঁরা KYC করিয়েছেন, তাঁদের জন্য আগেরটা গ্রহণযোগ্য, তবে যাচাই প্রয়োজন ।

নতুন ATO-এর ক্ষেত্রে: পূর্ণ কেসুয়াল KYC প্রক্রিয়া চালু থাকবে।


৩. Inactivity—পুনঃKYCের শর্ত

কোনো ATO যদি তিন মাস পরপর কোনো লেনদেন (financial বা non-financial) না করে, তাহলে আবার KYC করতে হবে আগে যাতে পুনরায় লেনদেনের সুবিধা পাওয়া যায় ।

একাধিক সূত্রে "তিন মাস" বলা হয়েছে; তবে কোনো উৎসে "ছয় মাস" বলা হলেও সাধারণত তিন মাসই প্রযোজ্য ।


৪. Risk Management—মনিটরিং এবং নিয়মিত পর্যালোচনা

ব্যাংককে ATO-দের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করতে হবে real-time বা period-based transaction monitoring সিস্টেমের মাধ্যমে ।

ATO-এর বিপণন ঝুঁকি বিবেচনায় করে ব্যাংককে transaction limits, geographic scopes, volume controls ইত্যাদি নির্ধারণ করতে হবে এবং নিয়মিত পুনরায় সংশোধন করতে হবে emerging fraud-risk অনুযায়ী ।


৫. API এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ

শুধু AePS-সম্পর্কিত কার্যক্রমের জন্যই API ব্যবহার করার অনুমতি থাকবে; অন্য কোনো উদ্দেশ্যে (unregulated services, misuse ইত্যাদি) এটির ব্যবহার নিষিদ্ধ ।


৬. বিশেষ বিধান—“One ATO per acquiring bank” (ETBFSI সূত্রে)

একাধিক উৎস উল্লেখ করে, ATO-কে মাত্র একটি acquiring bank-এর সাথে কাজ করার অনুমতি থাকবে—এটি NPCI ও acquiring bank-এর দ্বৈত দায়িত্ব ।



---

সংশ্লিষ্ট সংশ্লেষণ

শর্ত/Team বিবরণ

নতুন Team = ATO AePS Touchpoint Operator—ব্যক্তিগত প্রতিনিধি বা এজেন্ট
KYC প্রক্রিয়া পূর্ণ KYC, BC oswa sub-agent হিসেবে থাকলে পূর্বের KYC গ্রহণযোগ্য
Inactivity শর্ত ৩ মাস লেনদেন না হলে আবার KYC করতে হবে
Risk Monitoring transaction-based মনিটরিং, ঝুঁকি-ভিত্তিক operational parameters
API নিয়ন্ত্রণ শুধুমাত্র AePS ব্যবহারের জন্য API ব্যবহার অনুমোদিত
একাধিক ব্যাংক অধিক্ষেত্র ATO এক acquiring bank-এর সঙ্গে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে



---

উপসংহার

২০২৬ সালের জন্য AePS-এ নতুন team (ATO) এবং শর্তাবলীর পরিচালক একরকম ব্যাখ্যায় বলা যায়—ATO-কে আরও নিয়মিতভাবে নিয়ন্ত্রিত, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল করতে RBI নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। যাতে:

KYC ভারসাম্য বজায় থাকে,

ট্রানজেকশন মনিটরিং শক্তিশালী হয়,

API-misuse প্রতিরোধ হয়, এবং

ATO এর একাধিক ব্যাংকের সাথে দ্বৈত সম্পর্ক এড়ানো যায়।


সম্পূর্ণভাবে এই নিয়মাবলী ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে কার্যকর হবে ।

২০২৬ সাল থেকে AePS (Aadhaar Enabled Payment System) ব্যবসার জন্য কিছু নতুন নিয়ম ও শর্তাবলী কার্যকর হচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলি মূলত ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) এবং ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) দ্বারা আনা হয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা এবং AePS সিস্টেমে জালিয়াতি ও প্রতারণা কমানো।
প্রধান পরিবর্তন এবং নতুন নিয়মাবলী:
১. কঠোর KYC এবং অনবোর্ডিং প্রক্রিয়া:
 * ব্যাংকের দায়িত্ব: এখন থেকে ব্যাংকগুলিকে AePS টাচপয়েন্ট অপারেটর (ATOs), অর্থাৎ যারা AePS পরিষেবা প্রদান করেন, তাদের অনবোর্ডিং করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে KYC (Know Your Customer) যাচাই করতে হবে।
 * নিয়মিত KYC আপডেট: শুধুমাত্র একবার KYC করলেই হবে না। ব্যাংকগুলিকে নিয়মিতভাবে অপারেটরদের KYC রেকর্ড আপডেট করতে হবে, যাতে তথ্য সবসময় নির্ভুল থাকে।
 * নিষ্ক্রিয় অপারেটর: যদি কোনো অপারেটর একটানা ৩ মাস ধরে কোনো আর্থিক বা অ-আর্থিক লেনদেন না করে, তাহলে তাকে নিষ্ক্রিয় বলে ধরা হবে। পুনরায় কাজ শুরু করার আগে ব্যাংককে তার নতুন করে KYC যাচাই করতে হবে।
২. উন্নততর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং পর্যবেক্ষণ:
 * নিরন্তর পর্যবেক্ষণ: ব্যাংকগুলিকে এখন থেকে তাদের ট্রানজাকশন মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে অপারেটরদের কার্যকলাপ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
 * ঝুঁকি-ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ: ব্যাংকগুলিকে অপারেটরের ঝুঁকির প্রোফাইল অনুযায়ী লেনদেনের সীমা এবং অন্যান্য প্যারামিটার সেট করতে হবে। এই প্রোফাইল নির্ভর করবে অপারেটরের অবস্থান, লেনদেনের পরিমাণ এবং লেনদেনের ধরনের উপর।
 * প্রযুক্তিগত নিয়ন্ত্রণ: RBI স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে API-এর মতো প্রযুক্তি শুধুমাত্র AePS লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা যাবে, যাতে এর অপব্যবহার না হয়।
৩. 'এক অপারেটর-এক ব্যাংক' নিয়ম:
 * নতুন নিয়ম অনুযায়ী, একজন AePS টাচপয়েন্ট অপারেটর শুধুমাত্র একটি অ্যাকোয়ারিং ব্যাংকের (Acquiring Bank) সাথে কাজ করতে পারবে। এই নিয়মটি জালিয়াতি রোধ এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। NPCI এবং অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক উভয়েরই এই নিয়মটি কার্যকর করার দায়িত্ব থাকবে।
৪. জালিয়াতি রোধে পদক্ষেপ:
 * AePS-এর মাধ্যমে পরিচর্যা সংক্রান্ত জালিয়াতি (identity theft) এবং অন্যান্য ধরনের প্রতারণা বেড়ে যাওয়ার কারণে এই কঠোর নিয়মগুলি আনা হয়েছে।
 * এই নিয়মগুলি গ্রাহকদের আর্থিক লেনদেনকে আরও নিরাপদ করবে এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের উপর আস্থা বাড়াবে।
ব্যবসায়ীদের জন্য এর প্রভাব:
 * যারা AePS ব্যবসা করছেন, তাদের জন্য এই নতুন নিয়মগুলি বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে আসবে। তবে এটি তাদের ব্যবসাকে আরও সুরক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য করে তুলবে।
 * KYC এবং অন্যান্য নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চললে ব্যাংক এবং ফিনটেক সংস্থাগুলির সাথে তাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
 * যেসব অপারেটর নিয়ম মেনে কাজ করবেন, তাদের উপর গ্রাহকদের বিশ্বাস বাড়বে।
উপসংহার:
২০২৬ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে চলা এই নতুন নিয়মগুলি AePS ইকোসিস্টেমের নিরাপত্তা এবং সততাকে শক্তিশালী করবে। এটি শুধু জালিয়াতি কমাতেই সাহায্য করবে না, বরং দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির (financial inclusion) উদ্যোগে আরও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করবে। যারা এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাদের জন্য এই পরিবর্তনগুলি মেনে চলা অপরিহার্য।

Post a Comment

0 Comments